লাউ চাষ পদ্ধতি। জমি তৈরি ও চারা রোপণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা

  লাউ চাষ পদ্ধতি। জমি তৈরি ও চারা রোপণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা


লাউ একটি সুস্বাদু সবজি। এ জন্য লাউ সবার কাছেই প্রিয়। এই লাউ প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। তবে দো-আঁশ থেকে এটেল দো-আঁশ মাটি লাউ চাষের জন্য উত্তম। এছাড়া লাউ লতানো উদ্ভিদ বলে বছরের অধিকাংশ সময় চারা লাগিয়ে উৎপাদন করা যায়।


বীজ বপন ও চারা উৎপাদন

লাউ চায়ের জন্য পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরী করাই উত্তম। এতে বীজের খরচ কম পড়ে। পলিথিন ব্যাগে চারা উৎপাদন করে রোপণ করলে হেক্টরপ্রতি ৮০০-১০০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।



বীজ বপনের সময়

শীতকালীন চাষের জন্য মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-কার্তিক (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মাসে বীজ বপন করা যেতে পারে। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য ভাদ্রের ১ম সপ্তাহে বীজ বুনতে হবে।



জমি তৈরি

আমাদের দেশে প্রধানত বসতবাড়ির আশে পাশে যেমন-গোয়াল ঘরের কিনারায় বা পুকুর পাড়ে ২-৩টি লাউ গাছ লাগানো হয়ে থাকে। বেশী পরিমাণ জমিতে লাউয়ের চাষ করতে হলে প্রথমে জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।


চারা রোপণ 

লাউ চাষের জন্য ২x২ মি. দূরত্বে প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বোনা উচিত। রবি মৌসুমে লাউ মাচা বিহনী অবস্থায় ও চাষ করা যায়। তবে মাচায় ফলন বেশী হয়। এছাড়া পানিতে ভাসমান কচুরীপানার স্থুপে মাটি দিয়ে বীজ বুনেও সেখানে লাউ জন্মানো যেতে পারে।


অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা

নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি সেচ দেওয়া, মাটির চটা ভাঙ্গা, বাউনী দেওয়া ও অন্যান্য পরিচর্চা করা বাঞ্চনীয়। মাচা শক্ত করে বাধঁতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url