ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে টমেটো ও বেগুন উৎপাদন | ফার্টিগেশন পদ্ধতির সুবিধা

 ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে টমেটো ও বেগুন উৎপাদন | ফার্টিগেশন পদ্ধতির সুবিধা



সেচ প্রযুক্তি ফার্টিগেশন হলো বাংলাদেশের জন্য সেচের একটি  নতুন প্রযুক্তি যার চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পানিতে দ্রবণীয় সার যেমন ইউরিয়া, পটাশ ইত্যাদি পানির সাথে মিশিয়ে ফসলে প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির চাইতে ৩৫-৪০ ভাগ পটাশ এবং ৫০-৫৫ ভাগ ইউরিয়া ও প্রায় ৫০ ভাগ সেচের পানি সাশ্রয় হয়। সার এবং পানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণেও ফার্টিগেশন পদ্ধতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিতে ফসলের জমিতে সেচ এবং সার একই সঙ্গে প্রয়োগ করা যায়। প্রতি ১৪০ লিটার পানিতে ১ কেজি সার মিশাতে হয়। টমেটো ও বেগুন চাষ করে কম সময়ে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব।


ফার্টিগেশন পদ্ধতির সুবিধাসমূহ:


ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে প্রতি হেক্টরে ৭০-৭৫ টন বেগুন এবং ৯০-৯৫ টন টমেটো উৎপাদন করা সম্ভব।

প্রচলিত পদ্ধতি অপেক্ষা এ পদ্ধতিতে ২৮-৩১% ফলন বেশি পাওয়া যায়।

এ পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে ৪৫-৫৫% সার কম লাগে।

প্রচলিত ফারো এবং প্লাবন সেচ পদ্ধতি অপেক্ষা এ পদ্ধতিতে প্রায় ৪৫-৪৮% পানি কম লাগে।

প্লাবন বা ফারো সেচ পদ্ধতি অপেক্ষা এ পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়াজনিত নুয়ে পড়া রোগের বিস্তার কম হয়।

প্রচলিত ফারো পদ্ধতিতে টমেটো এবং বেগুন চাষ করলে হেক্টরপ্রতি নীট মুনাফা ৭০,০০০-৭৫,০০০ এবং ফার্টিগেশন পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করলে নীট মুনাফা শীতকালীন টমেটোর চেয়ে ২.০-২.৫ গুণ বেশি পাওয়া যায়।


শীতকালীন ও গীষ্মকালীন টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, পেঁয়ারা, লেবু আম ও কাঁঠালসহ যাবতীয় ফলবাগানে এ প্রযুক্তি অধিকতর কার্যকর।


খরাপীড়িত ও সেচ সঙ্কট এলাকা, লবণাক্ত অঞ্চল এবং পাহাড়ী অঞ্চল যেখানে সেচের পানির অভাব, সেখানে ড্রিপ সেচ পদ্ধতি খুবই উপযোগী।


বর্তমানে এ উন্নত পদ্ধতির যাবতীয় উপকরণ স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়।

প্রতি ৩ শতক জমির ফসলের জন্য এই পদ্ধতিতে সেচের খরচ হয় বছরে ৩৮০-৪০০ টাকা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url